মা
শরতাকাশে মেঘের ভেলায় এলো খুশির বার্তা,
উড়ো হাওয়ায় কাশের বনে আগমনীর কথকতা।
বাঁশের সাথে বাঁশ মিলে বানাই মায়ের বাসস্থান,
মৃন্ময়ীরূপের পুজো হবে, প্রতিষ্ঠা হবে প্রাণ।
যখন ঐ ভুবনভোলানো আঁখি পানে চাই মা গো তোমার,
বিশ্বেশ্বরী মনে করাও শুধু আপন মায়ের কথা বারবার।
সব সংসারই আলোকিত হয় মায়েদেরই কল্যাণে,
মা গো তোমরা এক; তোমরা সত্য, তফাত রূপায়ন আর রূপদানে।
মা গো সহনশীলতার প্রতীক তুমি, ভক্তসবের মনের বল,
কোথাও যেন মিলেমিশে যায় তোমার আর ‘মা’-এর চোখের জল।
-সৌম্য

দুর্গা দুগ্গা
কৈলাস থেকে দুর্গা আসে তো অনেক কিছুই চেপে,
ধরণী-দুগ্গা খালি পায়ে হাঁটে সকাল-সন্ধ্যা-রাতে।
দুর্গা দেবীর আগমনী সুরে বইছে খুশির ধারা,
ঘরের দুগ্গারা শত অপমানে কেঁদে কেঁদে হয় সারা।
দুর্গা মায়ের সন্ধিপূজায় কতই না আয়োজন,
ঘরের দুগ্গা মরে কিনা বাঁচে তাতে কিবা প্রয়োজন?
নত মস্তকে সাষ্টাঙ্গে পূজিতা যে দুর্গামাতা,
ধরণী-দুগ্গা ঘরে একা কাঁদে, রয়ে যায় বঞ্চিতা।
সুখ শান্তির চাওয়া পাওয়া নিয়ে কতই না ব্রতকথা,
ঘরে ঘরে যত দুগ্গারা কাঁদে বুকে নিয়ে শত ব্যথা।
দুর্গা-দুগ্গা একসাথে যেদিন সমভাবে হবে পূজিত,
সুখের জোয়ারে দুঃখগুলো সেদিন হবেই বাষ্পীভূত।
~দিব্যেন্দু দাস